সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: তিনি ইমাম। মুসল্লিদের নামাজ পড়ানোর পাশাপাশি করতেন টিউশনি।
১২ বছরের শিশু মেয়েকে কোলে বসিয়ে আরবি পড়াতেন। মেয়েটির স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বুলিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রিয়াজ উদ্দিন নামে সিলেটের কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১মখন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মনোহর টুক জামে মসজিদে ইমামতি করেন।
৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদের মক্তবের ছাত্রী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের পিতাহারা ১২ বছরের ওই মেয়েকে তার নিজ বাড়িতে মসজিদের ইমাম রিয়াজ উদ্দিন আরবী শিক্ষা দেওয়ার সময় তার কোলে বসিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ জায়গায় হাত দিয়ে যৌন যৌন নীপিড়ন করেন।
এ সময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। যৌন নীপিড়নের শিকার মেয়েটির পরিবারের লোকজন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হলে ঘটনাটি কোন বিচার হয়নি।
এ ঘটনাটি জানার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএমের নির্দেশে পুলিশ বৃহস্পতিবার ওই ইমামকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ইমাম এ ঘটনার দায় স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওসি শামসুদ্দোহা জানান, মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ ভিকটিম শিশু মেয়েটিকে গত এক মাস ধরে মসজিদে মক্তবে আরবী শিক্ষা দেওয়ার পর মক্তবের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিদায় দিয়ে মেয়েটিকে যৌন নীপিড়ন করতেন। কাউকে এসব ঘটনা না বলার জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের সেলিম উদ্দিন বাদি হয়ে মসজিদের ইমাম রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসংশোধনী ২০০৩ এর ১০ ধারায় রেকর্ড করা হয়।
©এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব sylheterbarta24.com কর্তৃক সংরক্ষিত