সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশিদপুরে দুই বাসের দুর্ঘটনায় নিহত এনা গাড়ির চালক-হেলপারের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগরে চলছে শোকের মাতম।
দুর্ঘটনায় নিহত এনা গাড়ির চালক সাদিপুর ইউনিয়নের ধরখাঁ গ্রামের মনজুর আলী ও হেলপার একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মনজুর আলী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দুই বাড়িতে নেমেছে শোকের ছায়া।
নিহত মনজুর আলীর চাচা লাল মিয়া বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জক ছিল মনজুর। তার আয়ে চলতো ৬জনের সংসার। অনেক কষ্ট করে দুই কক্ষ দিয়ে একটি আধা পাকা ঘর তৈরী করছে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। এখন তার দুই সন্তানকে আল্লাহ ছাড়া দেখার কেউ নেই। দুই সন্তানের পিতা মনজুর আলী প্রায় ৬ বছর ধরে এনা গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করছেন। তার আয়ে চলে মা, বোন ও স্ত্রী সন্তানসহ ৬ জনের সংসার। ৬ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়।
এদিকে একই অবস্থা জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিবারে। মনজুরের হাত ধরেই প্রায় দুই বছর আগে এনা গাড়িতে হেলপারের কাজ নিয়েছিল সেজাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীরের দুটি অবুঝ ছেলে মেয়ে রয়েছে। বাড়ির সবাই কান্নাকাটি করলেও তারা এখনো বুঝতে পারেনি তাদের বাবা যে আর কখনো ফিরবে না। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মা-বোনসহ ৬জনের সংসার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
জাহাঙ্গীরের বড় ভাই জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাইটি গত বুধবারে বাড়ি থেকে গিয়েছিল। ঘরের যত খরচ প্রয়োজন তা নিয়ে এসেছিল।
এদিকে ধরখাঁ গ্রাম্য কবরস্থানে নিহত দুজনের দাফন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্বজনরা। ময়না তদন্ত শেষে ফেরার পর রাতেই তাদের লাশ দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।