সিলেট নগরীতে রিকশা চলাচলের দাবিতে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করেছেন মহানগর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিকশা চলাচালের দাবিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সিসিকের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান
সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতি।
সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব কিবরিয়া হোসেন নিঝুম জানান, মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে সিসিক রিকশা চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের কোন মানে নেই। পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিক। আমরা ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গণসাক্ষর কমসূচি শুরু করেছি।
জানা যায়, সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থলের জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সিসিক। যানজট নিরসন ও সড়ক নিরাপত্তায় এ সিদ্ধান্ত মেনে চলতে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে প্রচার চালায়। এরপর এ বছরের ২ জানুয়ারি থেকে অভিযানে নামে সিসিক। ইতোমদ্যে ওইসব এলাকাকে রিকশা মুক্ত করা হয়।
সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা মোড় পর্যন্ত সড়কটি একমুখী (ওয়ানওয়ে) যান চলাচল থাকলেও সম্প্রতি সড়ক বিভাজক স্থাপন করে দ্বিমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখনো চলছে। জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার সড়ক এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসহ সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে। এ ছাড়া নগরের প্রধান প্রধান বিপণিবিতানগুলোও জিন্দাবাজারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থিত। পুরো এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এসব উন্নয়ন কার্যক্রম শেষে পুরো এলাকাকে নগরীর একটি আদর্শ এলাকায় রূপান্তর করার পরিকল্পনায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।