সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতে ফের ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্ঠা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তিন লম্পটকে আটক করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে পাভেল আহমদ (২৫), হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানাধীন ওয়ারিতা গ্রামের মুশাহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মোতালিব (২২) ও একই থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের আছদ্দর মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (২৪)। এছাড়াও পলাতক জহিরুল (২০) বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এরআগে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয়রা তাদেরকে ধরে পুলিশের সোর্পদ করেন। ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা নং- ৩০ দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করলেও জহিরুল নামের আরেক আসামী পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার। তিনি জানান, পুলিশ স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি জানান, আসামীরা বাদামবাগিচা এলাকার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের কাছে খাওয়ার পানি চায়। তখন মেয়েটি তাদেরকে পানি দেওয়ার জন্য বাসার ভিতরে গিয়ে পানি নিয়ে আসলে পাভেল আহমদসহ অন্যান্য অপরাধীরা মেয়েটির হাত-পা ও মুখ চাপিয়া ধরিয়া বসত ঘরের পেছনে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পাভেল আহমদসহ তিনজনকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করেন।