আজ শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনা: খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন সিলেটের ধনী সাংবাদিকরা, বঞ্চিত এখনো গরীবরা

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত এপ্রিল ১৪, ২০২০, ০৮:০১ অপরাহ্ণ
করোনা: খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন সিলেটের ধনী সাংবাদিকরা, বঞ্চিত এখনো গরীবরা
শেয়ার করুন/Share it

বাবর হোসেন : করোনায় খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন সিলেটের ধনী সাংবাদিকরা : বঞ্চিত এখনো গরীবরা

করোনা মহামারীতে থমকে দাঁড়িয়েছে দেশের মানুষের জীবনযাত্র। থেমে গেছে জীবন চলার সকল মাধ্যম।

করোনায় ঘরবন্দী, কর্মহীন মানুষের তরে বিলিয়ে দেয়া হচ্ছে অগণিত উপহার আর খাদ্যসামগ্রী।

সিলেটেরও এর ব্যতিক্রম নয়। গরীব-অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকে। সিলেট সিটি করপােরেশন গঠন করেছে খাদ্য ফান্ড।

সিলেটের অন্যতম সিনিয়র সাংবাদিক আফম সাইদ গত ৭ এপ্রিল ফেইসবুকে লিখেছেন, তিন সাংবাদিক সংগঠন সিটি কর্পোরেশন থেকে গরীবের খাদ্য সহায়তার মাল নিয়ে গেছে। ৮ এপ্রিল তিনি লেখাটি রহস্যজনক কারনে সরিয়ে ফেলেন।

এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে বলেছিলেন তার সেই লেখাটিকে লক্ষ্য করে অনেকেই সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে ধরনের কমেন্ট করেছে। সিলেটে বর্তমানে দোকানদার সাংবাদিকদের জয় জয় কার , সাংবাদিক তকমার আড়ালে অনেকেই দোকানদারীতে নিয়োজিত।

সার্বক্ষনিক সাংবাদিকরা দোকানদার সাংবাদিকদের চেয়ে বেশি অসচ্ছল। যে তিনটি সাংবাদিক সংগঠন বর্তমানে সময়ে আল্লাহর গজব করোনা ভাইরাস নামক মুসিবতের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্টান ও ব্যক্তির কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করেছে তাদের অনেকেই বিওশালী ও দোকানদার সাংবাদিক। প্রায় সবারই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ঠিকাদারী ব্যবসা।

অনেকেই বেশ কয়েক মাস আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ডি ও লেটারের বদৌলতে নিজ খরছে প্রধানমন্তীর সফরসঈী হয়ে বিদেশে ভ্রমন করে এসেছেন। এরা গরীব হলে বিদেশে ভ্রমন করলেন কিভাবে ? এদের অনেকেই চাকরিতে আছেন দেশের নামকরা বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে।

অনেক স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়ার মালিকগন কয়েকশ কোটি টাকার মালিক,তাদের প্রিন্ট মিডিয়া বন্দ থাকলেও অন লাইন চালু রয়েছে। এখনো অনেক প্রকৃত গরীব সাংবাদিকরা কিছুই পায়নি, যারা পেয়েছে বা পাচ্ছে তাঁরা একবার পাচ্ছে প্রেসক্লাবের তালিকায় আরেকবার পাচ্ছে প্রিন্ট মিডিয়ার তালিকায়, আরেকবার পাচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তালিকায়।

এরাই আবার নিয়ে যাচ্ছে অন- লাইনের তালিকায়। ফান্ড তৈরীর নাম করে ও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী এবং নগদ অর্থ। বিভিন্ন পএিকার পরিচয়ে অনেকেই প্রেসক্লাবের মেম্বার কিন্তু তাঁরা নিজেরা অন্য পেশায় জড়িত ।

আরও পড়ুন:  বালাগঞ্জে গরু চুরি, আতঙ্ক

প্রেসক্লাবের নিবার্চন এলেতারা শুধু ভোট দেন সাংবাদিকতা তাদের করতে হয়না কিন্তু প্রেসক্লাবের তালিকায় নাম উল্লেখ থাকে। এদের মধ্যে কেউ কোটি প্রতি ঠিকাদার, কেউ দোকানদার কেউ ব্যাংকার। অনেকেই একাধিক সি এ জি অটো রিকশা ও পিকাপ ভ্যানের মালিক। ট্রাক গাড়ী ও রয়েছে কারো কারোর অর্থ বিওের মালিক হয়ে ও তাঁরা দরিদ্র সেজে খাদ্য সহায়তা ও ঐানের মাল নিয়ে যাচ্ছে।

অপরাদিকে শুধু মাএ সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছে এমন বিওহীন প্রকৃত সাংবাদিকরা বঞ্চিত রয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের ২৬ কোটি টাকার ভুমি কেলেংকারীদেরকে পূঁজি করেও অনেকে ফায়দা হাসিলে তৎপর রয়েছে। মেয়রকে অনাস্থা দিয়েছিলেন যেসব কাউন্সিলর তাদের মুখ বন্দ রাখতে কয়টি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছিল সেই সব তথ্য কে দোকানদার সাংবাদিকরা পূঁজি করেই ঐান বানিজ্যে এগিয়ে আছেন

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক সাপ্তাহিক বাংলার বারুদ, সভাপতি সিলেট সিটি প্রেসক্লাব

সিলেটের বার্তা ডেস্ক


শেয়ার করুন/Share it
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১