সিলেটের গোয়াইনঘাটে ট্রিপল মার্ডার এর পর এবার ওসমানীনগরে নিজঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এসময় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহও উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগরের সোয়ারগাঁও খয়েরপুর গ্রামে স্কুল শিক্ষিকা তপতি রানী দে (৪৮) ও তার বাসার কাজের সহযোগী গৌরাঙ্গ বৈদ্যের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার দুপুরে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে এই নৃশংস হত্যাকান্ডটি গৌরাঙ্গ ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ।
গৃহকর্ত্রীকে হত্যা করে সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে। হত্যাকান্ডে যে বটি দা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিক্ষিকার পুরো গলাটা দা দিয়ে কাটা হয়েছে। মাথাটা গাড়ের চামড়ার সাথে একটু ঝুলানো অবস্থা ছিলো।
জানা যায়, নিহত তপতির স্বামী নিজের চেম্বার থেকে রাতে বাড়ি ফিরে বসতঘরের দরজা বন্ধ পাওয়ায় স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পাননি। পরে তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকা তপতির লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি শ্যামল বণিক আরও বলেন, স্কুল শিক্ষিকা ও গৃহকর্মী ছেলে গৌরাঙ্গের লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,নিহত তপতী রানী দে (৪৮) সোয়াইরগাঁও’র বাসিন্দা ডা. বিজন ভূষন দে’র স্ত্রী। তিনি সোয়াইরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।