বিগত কয়েক বছর থেকে চামড়া শিল্পে ধ্বস চলছে। এবারও এর বিকল্প হয়নি। আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে বিকেল থেকে সিলেটে চামড়ার দাম নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন ব্যাপারিরা।
২০০-৩০০ টাকার উপরে উঠছে না চামড়ার দাম।
চামড়ায় কাটা-ছেঁড়া আছে- এমন অজুহাতে বাদের তালিকায় ফেলে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন পাইকাররা। এ নিয়ে পাইকারদের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের বাগবিতণ্ডাও হচ্ছে। এ অবস্থায় সিলেটে চামড়া ১০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে কেনা-বেচা হতে দেখা গেছে।
কিন ব্রীজ এলাকায় কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রি করতে আসা আবুল মিয়া বলেন, ৭টি গরু ও ১১টি খাসির চামড়া তিনি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেনে বাজারে। গরুর চামড়া ১৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন কিন্তু খাসির চামড়ার দাম হচ্ছে ২০ টাকা করে। তিনি বিক্রি না করে খাসির চামড়াগুলো সেগুলো নদীতে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছেন। সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও বাজারে পাইকাররা সরকারি দরের ধারে কাছে যাচ্ছেন না।
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়া জানান, লাভের আশায় তিনি গ্রাম থেকে ২০টি গরুর চামড়া গড়ে ৫০০/৬০০ টাকায় কিনে এনেছেন। বাজারে বিক্রি করতে এসে গড়ে ২০০ টাকাও দাম উঠছে না।
চামড়া কম দামে কিনতে চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পাইকার নুর মিয়া বলেন, আমরা খুচরা বাজার থেকে চামড়া সংগ্রহ করে ঢাকায় বিভিন্ন কোম্পানীতে সরবরাহ করে থাকি। এসব কোম্পানী আামাদের কাছ থেকে বাকিতে চামড়া নিয়ে সারাবছর ব্যবসা করে কিন্তু আমাদের টাকা দিতে চায় না, তাই তারা দামে চামড়া কিনতে আগ্রহী নন। একটি কোম্পানীর কাছে তিনি ৩১ লক্ষ টাকা পান, সেই কোম্পানী ঈদের আগে তাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।