সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র বিছনাকান্দির জল ঈদানন্দ কেড়ে নিল দুই কিশোরের।
নিহত দুই কিশোর সিসিকের ৫নম্বর ওয়ার্ডের গোয়াইপাড়া মল্লিকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে সাগরের বাবার নাম মৃত পান্নু মিয়া ও রুমেলের বাবার নাম আলী হুসেন।
আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) তাদের লাশ উদ্ধারের পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঈদের পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার বন্ধুদের নিয়ে বিছানাকান্দি বেড়াতে আসে নগরের গোয়াইপাড়ার মল্লিকা আবাসিক এলাকার ৮/১০জন কিশোর।
আনন্দের বদলে বিছানকান্দির পিয়াইনের প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে দুই কিশোরকে। জীবিত বেড়াতে আসলেও তারা বাড়িতে ফিরেছেন লাশ হয়ে। অল্প বয়সের সন্তানদের হারিয়ে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার তারা পানিতে তলিয়ে গেলে অনেক খোঁজাখুজির পর আজ শুক্রবার দুপুরে নিখোঁজ হওয়া দুই কিশোর সাগর ও রোমেলের লাশ খুঁজে পান স্থানীয় এক পর্যটকবাহী নৌকা চালক।
করোনা লকডাউনের কারনে পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে অনেকেই এভাবে ছুটছেন নানা স্থানে। এছাড়া বর্ষাকালীন সময়ে পিয়াইন নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় বিছনাকান্দির মত জাফলংসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো হয়ে উঠছে ভয়ংকর। এদিকে
এদিকে গোয়াইনঘাটের অপর পর্যটন স্পট জাফলংয়ে ঈদের ২য় দিনে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ইমরান আহমেদ (১৮) নামের এক পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন।
সে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার ফুলমালির চালা এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে এবং ফজরগঞ্জ মাদ্রাসার ২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেলে জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসল করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
পুলিশ ও নিহতের বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইমরান ও তার ১৪ জন বন্ধু-বান্ধব মিলে টাংগাইল থেকে বৃহস্পতিবার সকালে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। দুপুরের পরে ইমরানসহ তিন বন্ধু জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় সাঁতার না জানায় বন্ধুদের অগোচরে জাফলং পিয়াইন নদীর করাল স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যান ইমরান। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি। নিখোঁজ ইমরানের খোঁজে গোয়াইনঘাট থানা,টুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিছনাকান্দিতে দুই পর্যটকের লাশ উদ্ধার ও জাফলংয়ে এক পর্যটক নিখোঁজের বিষয়টি এই প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ওসি পরিমল চন্দ্র দেব।